মহানবীর প্রিয় রং : রাসুল (সা.)-এর প্রিয় রং ছিল সাদা। তিনি সাদা রঙের পোশাক ব্যবহার করা পছন্দ করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের কাপড় পরিধান করবে। তোমাদের  জীবিতরা যেন সাদা কাপড় পরিধান করে এবং মৃতদেরও যেন সাদা কাপড় দিয়ে কাফন দেয়। কেননা সাদা কাপড় তোমাদের সর্বোত্তম পোশাক। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৫২)

এ ছাড়া বিভিন্ন হাদিস দ্বারা জানা যায় যে রাসুল (সা.) কখনো কখনো কালো পাগড়ি, হালকা হলুদ পাগড়ি, হালকা লাল পাগড়ি ও সবুজ পাগড়ি ব্যবহার করেছেন।

মহানবীর প্রিয় খাবার : ১. পনির ও খেজুর। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮১৯) ২. মাখন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৩৪) ৩. তরমুজ। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৪৩) ৪. সিরক। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৪০)

৫. মিঠাই ও মধু। তিরমিজি, হাদিস : ১৮৩১) ৬. লাউ। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১১৮)

৭. বকরির সামনের ঊরুর গোশত। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১২৫)

৮. ঠাণ্ডা মিষ্টি পানীয়। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১৫০) ৯. দুধ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৭৩০)

১০. সারিদ। (মিশকাত, হাদিস : ৪১৩৯) ১১. সিরকা। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১১৩) ১২. শসা। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ১৪৬) ১৩. জলপাই। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫১) ইত্যাদি ইত্যাদি।

মহানবীর প্রিয় পোশাক : উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) পোশাক হিসেবে ‘কাসিম’ বা জামা সর্বাধিক পছন্দ করতেন। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৪৪)

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.)-এর সর্বাধিক প্রিয় কাপড় ছিল (ইয়েমেনের তৈরি চাদর) হিবারা। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৪৮)

মহানবীর প্রিয় সুগন্ধি : আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—রাসুল (সা.) কী ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। জবাবে তিনি বলেছেন, মেশক ও আম্বরের সুগন্ধি রাসুল (সা.) ব্যবহার করতেন। (নাসায়ি, হাদিস : ৫০২৭)

মিহসানকন্যা উম্মে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই উদে হিন্দ (ভারতীয় চন্দন) ব্যবহার করবে। কেননা তাতে সাতটি রোগের প্রতিষেধক রয়েছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৬৮)

বৃহস্পতিবার সফর : কাআব ইবনে মালিক (রা.) বলেন, তিনি [রাসুল (সা.)] বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়া পছন্দ করতেন। (রিয়াদুস সালেহিন, হাদিস : ৯৬৩)

মহানবীর প্রিয় তরবারি : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ব্যবহৃত ৯টি তরবারি বর্তমানে বিভিন্ন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে। নিম্নে সেই তরবারিগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো—

১. আল মাসুর। ২. আল কাদিব। ৩. আল আদব। ৪. জুলফিকার। ৫. আল কুলায়ি। ৬. আল হাত্তাপ। ৭. আর রাসুব। ৮. আল বাত্তার।

৯. আল মিখজাম।

মহানবী (সা.) ঘোড়া পছন্দ করতেন : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ বেঁধে রেখেছেন। ঘোড়া তিন প্রকার, যা দ্বারা মানুষ সওয়াব লাভ করে। আর এক প্রকার ঘোড়া, যা (অসচ্ছলতার জন্য) আচ্ছাদন (ঢালস্বরূপ) হয়ে থাকে এবং এক প্রকার ঘোড়া বোঝাস্বরূপ হয়ে থাকে। সওয়াবের ঘোড়া তো ওই ঘোড়া, যাকে মালিক আটকে রাখে (লালন-পালন করে) আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য এবং প্রয়োজনমতো তাকে জিহাদে ব্যবহার করা হয়। যা কিছু সে খায়, যা কিছু তার পেটের ভেতর গায়েব করে, তা সবই তার জন্য সওয়াব লেখা হয়; যদিও নতুন চারণভূমিতে সে তার সামনে উদ্ভাসিত হয়। (নাসায়ি, হাদিস : ৩৫৬২)