গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে চতুর্থ দিনের মতো নকশা বহির্ভূত অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম। যা এখনো চলমান। এ পর্যন্ত (বিকাল ৪টা) চারশ’র বেশি দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএসসিসি।
আজকের অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম ইরফান উদ্দিন আহমেদ এবং তানজিলা কবীর ত্রপা।
সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের মূল নকশার বহির্ভূতভাবে গড়ে উঠেছে ৭৫৩টি দোকান। মার্কেটের গাড়ি পার্কিং, লিফট এবং টয়লেটের জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ দোকান। এছাড়াও এই ভবনের চারতলা পর্যন্ত বৈধ দোকানের অনুমোদন থাকলেও ভবনটিকে পাঁচতলা পর্যন্ত বাড়িয়ে সেখানেও দোকান তৈরি করা হয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ শুরু করে ডিএসসিসি। তবে অভিযানের প্রথম দিন বেলা দুইটার সময় ৩৪টি দোকান ভাঙার ব্যাপারে তিন মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ফলে সাময়িকভাবে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখে ডিএসসিসি। পরে গত বুধবার চেম্বার কোর্ট এই স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয় এবং নকশা বহির্ভূত দোকান ভাঙার ব্যাপারে সমস্ত আপত্তি তুলে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার থেকে আবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি।
আজকের উচ্ছেদ অভিযানে বেজমেন্টসহ তিনতলা ও চারতলার বেশ কিছু দোকান ভাঙা হয়েছে। ম্যানুয়ালি ভাঙার কারণে উচ্ছেদ কাজে একটু বেশি সময় লাগছে বলে জানায় ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। অভিযানের শুরু থেকেই মার্কেটের প্রায় ৫০ জন অবৈধ দোকানদার সেখানে জড়ো হয়। তাদের অভিযোগ দোকান ভাঙার আগে তাদের কোনো সময় দেয়া হয়নি।
এদিকে, অভিযানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, আমরা দুপুর থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু দোকান ভাঙা হয়েছে। আশা করছি ১ সপ্তাহের মধ্যে আমরা পুরো ভবনের নকশার বহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ করে মার্কেটটিকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।