ধর্মতত্ত্ব

মুফতি তাজুল ইসলাম   

আজানের সূচনা হয়েছে নামাজের জামাত অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থেকে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, মুসলমানরা যখন হিজরত করে মদিনায় এলো, তখন তারা নামাজের জন্য অনুমানের ভিত্তিতে একটা সময় ঠিক করে নিত এবং সে অনুযায়ী সমবেত হতো। তখন নামাজের জন্য কেউ আহ্বান করত না। একদিন তারা এ বিষয়ে আলোচনা করল। কেউ বলল, খ্রিস্টানদের মতো নামাজের সময় ঘণ্টা বাজানো হোক। আবার কেউ কেউ প্রস্তাব দিল, অগ্নিপূজারিদের মতো শিঙা বাজানো হোক। ওমর (রা.) বলেন, তোমরা কি নামাজের সময় সবাইকে আহ্বান করতে একজন লোক পাঠাতে পারো না? তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বিলাল (রা.)-কে বলেন, ‘বিলাল, তুমি ওঠো এবং নামাজের জন্য আহ্বান করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)

আজান দেওয়ার একটি বিশেষ নিয়ম হলো, আজান দেওয়ার সময় কানে আঙুল দেওয়া। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮১)

আজানের সময় কানে আঙুল দেওয়ার কারণ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বিলাল (রা.)-কে আদেশ করেছেন, আজান দেওয়ার সময় নিজের দুই কানে আঙুল প্রবেশ করাবে। তিনি বলেন, এতে তোমার আওয়াজ উঁচু হবে। (ইবনে মাজাহ)

সুতরাং আজানের আওয়াজ উঁচু ও ভারী করার জন্য আজানের সময় কানে আঙুল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নামাজ ছাড়াও যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন তার কানে আজান দিতে হয়। এর কারণ হলো, সন্তানের কানে সর্বপ্রথম যে আওয়াজ প্রবেশ করে সেটার প্রভাব তার বিবেক ও স্বভাবে গেঁথে যায়। তাই ইসলাম নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার বিধান দিয়েছে, যাতে তার জীবন ইসলামময় হয়।