শায়খ আহমাদুল্লাহ। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। বৃহিস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেইজে একটি স্ট্যাটাসে শায়খ আহমাদুল্লাহর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে- ‘আপনাদের সবার প্রিয় শায়খ আহমাদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতার তীব্রতা অনুভব করেন। রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর হলে রাত ৩টায় তাঁকে ঢাকার পান্থপথের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাঁর শরীর থেকে কভিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। টেস্টে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন।”

১৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ লক্ষ্মীপুরে জন্ম শায়খ আহমাদুল্লাহর। কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে খুলনা দারুল উলুম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। লেখাপড়া শেষ করে মিরপুরের দারুর রাশাদে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন। এক বছর মিরপুরের আরজাবাদ মাদরাসায়ও শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে।

২০০৯ সালে তার সুযোগ আসে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার। আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতার কারণে ডাক পান মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে যোগ দেন। একজন দায়ি ও অনুবাদক হিসেবে সেখানে দীর্ঘ ৯ বছর কাজ করেন। আরবদের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইতোমধ্যেই তিনি জাপান, ভারত, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের একাধিক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’। শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ—তিন বিভাগে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইসলাম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখালেখিও করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই পর্যন্ত দাওয়াহ ও গবেষণা বিষয়ে শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আরবি ভাষাতেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ। শায়খ আহমাদুল্লাহ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব। পাশাপাশি ভূমিপল্লীর একটি মাদরাসার পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত।