চুনারুঘাটে খাবার ও গাড়ি ভাড়ার প্রলোভন দিয়ে দিন-দুপুরে কিশোরীকে ধর্ষণ
চুনারুঘাটে খাবার ও গাড়ি ভাড়ার প্রলোভন দিয়ে দিন-দুপুরে কিশোরীকে ধর্ষণ

মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার সিলেট

ক্ষুধার্ত কিশোরীকে খাবার ও গাড়ী ভাড়া দিয়ে বাড়িতে পাঠানোর প্রলোভন দিয়ে নিজ গৃহে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ছনখলা গ্রামে। অভিযোগকারী ধর্ষিতা মিম (ছদ্মনাম) (১৬) জানায়, সে শমশেরগঞ্জ থেকে শায়েস্তাগঞ্জে এসে এক মহিলার সাথে রাত কাটায়। সেখান থেকে পথ ভুলকরে জারুলিয়া চলে আসে। জারুলিয়া থেকে চুনারুঘাটে সিএনজিযোগে যাবার সময় সাদ্দামের সাথে পরিচয় হয়। সে সাদ্দামের কাছে আহারের জন্য কিছু টাকা চায়। সাদ্দাম ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে আসলে খাবার ও গাড়ি ভাড়া দিবে বলে প্রলোভন দিয়ে গৃহে এনে জোর পূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। পরে সাদ্দামের স্ত্রী ঘরে আসলে সাদ্দামের শিশুসন্তানের সহযোগিতায় মেয়েটি পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সাদ্দামের স্ত্রী দিলারা খাতুন জানান, সাদ্দাম তার স্ত্রীকে ফোনে জরুরি ছবি তোলার কথা বলে জারুলিয়া বাজারে পাঠিয়ে দিয়ে চুনারুঘাট থেকে বাসুল্লা হয়ে মেয়েটিকে নিয়ে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে রাখে। তার স্ত্রী জারুলিয়া বাজারে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তার স্বামী দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে রয়েছেন। অনেকক্ষণ দরজা খোলার কথা বললে সাদ্দাম দরজা খুলেনি। পরে দরজায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকলে সাদ্দাম দরজা খুলে দেয়। তখন মেয়েটি এসে তার পায়ে পড়ে। দিলারা তার স্বামীর সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে মেয়েটি পালিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে ১১ মার্চ দুপুর আনুমানিক বারোটায়। মেয়েটিকে আশ্রয়দাতা ছনখলা গ্রামের মুরুব্বী নুর মোহাম্মদ বলেন, মেয়েটি হাঁপাতে হাঁপাতে তার দোকানে গিয়ে উঠে। এবং বিস্তারিত খুলে বলে। গ্রামবাসী এক জোটে প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানান। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আলী আশরাফ ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে ভিকটিম ও সাদ্দামের স্ত্রী দিলারা খাতুন থানা হেফাজতে নেন। তখন অভিযুক্ত সাদ্দাম পলাতক ছিল। গ্রামের প্রায় অধিকাংশ লোকজন জানান সাদ্দামের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। সে ইতিমধ্যেও এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মিম অনেকটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মত। সে কোন কিছুই গুছিয়ে বলতে পারছিল না। বিষয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী আশরাফ বলেন, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিম চুনারুঘাট থানার হেফাজতে ও অভিযুক্ত সাদ্দাম,সাদ্দামের স্ত্রী ও ভুক্ত ভুগি সহ থানা হাজতে আছে ।