শেখ সবুজ আহমেদ, কুষ্টিয়া থেকে
কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণ মুলগ্রাম এর আহাম্মদ আলীর বসতভিটা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে তার ভাই আহাতাব আলীর ছেলে নাজির উদ্দিন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হলে আদালতের আদেশ অমান্য করে আহাতাব আলী ও তার বড় ছেলে মোঃ নাজির উদ্দিন ও মোঃ ফিরোজ কামাল জোরপূর্বক ভাবে বিভিন্ন হুমকি-ধামকির মাধ্যমে আহাম্মদ আলী বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রথম দফায় ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার সকালে লাঠিসোটা নিয়ে আহমদ আলীর বসতভিটায় দখলের জন্য গেলে কুমারখালী থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নাজির উদ্দিনসহ তার লোকজন কে ফিরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে আহাম্মদ আলীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আজ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর আমি এই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি কিন্তু আমার ভাই তার ছেলে নাজির উদ্দিন বিল্ডিং বাড়ি করার জন্য আমার জমি সহ আমার বসত ভিটা জোরপূর্বক ভাবে দখলের চেষ্টা করেন কিন্তু আমি এতে রাজি না হলে আমার ও আমার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে এ বিষয়ে আমার ছেলে বাদী হয়ে কুমারখালী থানা তে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এবং শুধু তাই নয় বিল্ডিং বাড়ি বানাতে যে সরঞ্জাম কাজে লাগে সে সরঞ্জামগুলো এমন ভাবে রাখা হয়েছে আমি বাড়ির মধ্যে গৃহবন্দী মতো জীবন যাপন করছি। এ বিষয়ে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আমার ভাই ও তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির জানাচ্ছি। এই নাজির উদ্দিন এর সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য, তার একসময় চরমপন্থীদের সঙ্গে ভালো সখ্যতা ছিল আর এই প্রভাবের কারণেই তিনি আইনের তোয়াক্কা না করেই তার প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, এবং কি এই নাজির উদ্দিন কাঁচামাল সিন্ডিকেটের সঙ্গেও জড়িত গত কয়েক মাস আগে যখন বাজারে পিয়াস সংকট ছিল তখন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পিয়াস পায় এ কারণে তাকে গুনতে হয়েছিল মোটা অঙ্কের জরিমানা।
এদিকে নজির উদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগের ব্যর্থ হলে কুমারখালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানান, এ বিষয় টি কুষ্টিয়া কোর্টে মামলা হয়েছে যেহেতু এটি কোর্টের বিষয়। কিন্তুুু এই নজির উদ্দিন কোর্টের আদেশ অমান্য করে গতবার জোরপূর্বক ভাবে আহমদ আলীর বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল কিন্তু কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে বাধা দেয় এবং আইন মেনে চলার পরামর্শ দেয় কিন্তু তিনি তা না মেনে এবারও দখলের চেষ্টা চালালে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বাধা দেয় এবং এ বিষয়ে থানা তে একটি সাধারণ অভিযোগ হয়েছে আমরা আইন-শৃঙ্খলার রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো যাতে ওখানে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।