৩৬ মামলা মাথায় নিয়ে কারাগারে করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহেদ।

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন হলেও অন্য মামলাগুলো আছে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। আর ৫ মামলায় কারাগারে থাকা সাবিরিনা-আরিফ দম্পতির প্রতারণা মামলায় রায় শিগগিরই আসবে বলে আশা রাষ্ট্রপক্ষের।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ। সে হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে, ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয় সাড়ে ৪ হাজার। সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর শাহেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে হয় বেশ কিছু মামলা। পুলিশের সর্বশেষ তথ্যে, শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এর সংখ্যা ৩৬। ৭টি মামলা হয়েছে আদালতে।

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার হন হৃদরোগ ইন্সিটিউটের ডাক্তার সাবরিনাও।তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়াসহ প্রতারণা মামলা ৪টি। এই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে করা প্রতারণা মামলায় অভিযোগপত্রও দিয়েছে পুলিশ।

পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু জানান, সাবরিনা-শাহেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত আদালতের উপস্থাপন করেছেন তারা। সাক্ষ্যগ্রহণে বিলম্ব আর করোনার কারণে আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান না থাকায় মামলাগুলোর রায় আসতে দেরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।