স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য লিটন ও আজাদকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে র্যাব-৪ এর একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। শনিবার বিকেল ৪টায় র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা (১) মোঃ লিটন মিয়া কথিত ডাঃ লিটন (৪৪), ভিকটিমদের নিকট হতে ৩-৪ লক্ষ টাকা করে নিত । আবার তাদেরকে বিভিন্ন প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে উচ্চ বেতনের লোভনীয় চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ইরাকসহ একটি এজেন্সির আড়ালে নারী পাচারের সাথে যুক্ত এই চক্রটি বিদেশে পাচারের পর ভিকটিমদের বিক্রি করে দিত। বিভিন্ন পেশায় দক্ষ নারী যেমন নার্স, পার্লার ও বিক্রয় কর্মীদের টার্গেট করে এই চক্রটি। এ চক্রটি ২০০/২৫০ জন মানব পাচার করেছে; তন্মধ্যে ৩৫-৪০ জন নারী রয়েছে। এই মানব পাচারকারী চক্রের দেশে বিদেশে ১৫-২০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃত লিটন কথিত ডাঃ লিটন সরকারি একটি সংস্থায় চাকুরির নাম করে মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ও অন্যান্য নথিপত্রের ব্যবস্থা করত। ২০১০ সালে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সে চাকুরীচ্যুত হয়। চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর সে ২০১৩ সালে ইরাকে গমন করে। অতঃপর ইরাকে সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। ইরাকে নিয়ে নারীদের পাচার করত গ্রেফতারকৃত লিটনের নামে বিভিন্ন থানায় মানবপাচার ও প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আজাদ ২০১৬ সাল হতে এই চক্রের সাথে জড়িত হয়। গ্রেফতারকৃত লিটন ইরাকে গ্রেফতার এড়াতে বাংলাদেশে ফিরে আসে সে দুইবার ইরাকে গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানায়।