রাজধানী ঢাকার মিরপুর পল্লবী থানায় কর্মরত এসআই সজীব খানের বিরুদ্ধে জনহয়রানি ও গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী ধারাবাহিক ভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। 

। এক্ইসাথে ঐ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দফায় দফায় বিনা অভিযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। শুধু ঐ ব্যবসাযীর কাছেই নয়, ইতোমধ্যে এসআই সজীব খান বিভিন্ন মামলায় চালান করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঐ ব্যবসায়ীর ছোট ভাই এবং ম্যানেজারের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ঐ ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী।আমাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টারদের ইনভেস্টিগেশনেও উঠে এসেছে অভিন্ন চিত্র। এসআই সজীব খানের ধারাবাহিক চাঁদাবাজীর কারণে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ঐ ব্যবসায়ী এবার আইনের দারস্ত হয়েছেন।তার অভিযোগ রেকর্ড করেছেন ডিএমপি হেড কোয়াটার।

পল্লবী থানার ১২ডি/ এভিনিউ-২, বাড়ি নং-৩০/৫ সেকশন-১২ সিরামিক রোডের ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, প্রথম দফায় ২৬/০৮/২০২১ ইং তারিখে আমি (আনোয়ার হোসেন) দোকানে কর্মরত থাকাকালীন বিকাল ৫টার দিকে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান, এএসআই আজগর, সঙ্গীয় ফোর্স ও কথিত ইনফরমার(সোর্স) ললিত বাবুকে সাথে নিয়ে আমার দোকানে উপস্থিত হয়। এরপর আচমকা এসআই সজীব খান আমার দোকানে রক্ষিত ওয়েস্টেজ ভাঙাড়ি মালের দিকে ইঙ্গিত করে বলে,“এগুলো তো সব মেট্রোরেলের মাল” ? আমি তাৎক্ষণিক বলি আমার দোকানে কোনো মেট্রোরেলের মাল নেই।এসআই সজীব খান বুঝেও না বোঝার ভান করে হুমকি দেয় যে, “আমার ওয়েস্টেজ মালামাল সে ট্রাক ভর্তি করে আমাকে সহ থানায় নিয়ে যাবে”।ঐ সময় আমি বিনয়ের সাথে বলি যে, স্যার আমি একজন সামন্য ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী, আপনি বিনি কারণে আমাকে কেনো হয়রানি করছেন? এ কথা বলে আমি কেঁদে ফেলি।

তারপরও জোরপূর্বক এসআই সজীব খান আমাকে তাঁর মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে এসে থানার ৪ তলায় নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে রাখে।এক পর্যায়ে এস আই সজীব খান আমাকে হুমকী দিয়ে বলে “ দেখ তোকে কি মামলা দিই, তুই সারাজীবন জেলের ঘাণি টানবি ”। এরপর নানাবিধ হুমকী ধামকী ও গালিগালাজ দিয়ে বলে এখনো সময় আছে বাঁচতে চাইলে নগদ ৫(পাঁচ)লাখ টাকার  ব্যবস্থা কর। প্রতিউত্তরে আমি বলি “স্যার এর থেকে আপনি আমাকে মেরে ফেলেন” আমি আরো বলি ‘এতো টাকা আমি কিভাবে জোগাড় করব’ ? তাহলে এখন কত পারবি? বলেই এসআই সজীব খান লাঠি দিয়ে আমাকে শাররীকভাবে টর্চার করতে থাকে।আর বলতে থাকে ‘এখনো সময় আছে কত পারবি বল? আমি বলি স্যার আপনি আমাকে আর মাইরেন না, আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এই সময়ই আমার মোবাইলে আমার ছোট ভাই খলিল কল করলে এসআই সজীব খান বলে, ফোন রিসিভ করে তোর ভাইকে টাকা আনতে বল। আমি ভয়ে ভয়ে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলি, আর তাকে থানায় আসতে বলি।কিছুক্ষণ পরে আমার ছোটভাই খলিল ও ম্যানেজার রাসেল আমাকে দেখার জন্য থানায় আসে। ৪তলায় এসে আমার পরিস্থিতি দেখে আমার ভাই খলিল এ সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। ছোট ভাইয়ের কান্না দেখে আমি ছোট ভাই খলিলকে বলি এসআই সজীব খানকে টাকা দিয়ে আমাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। এরপর খলিল বাসায় যেয়ে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০(পঞ্চাশ)হাজার টাকা, দোকানের ক্যাশ থেকে ৪(চার) হাজার টাকা, আর ছোটভাই খলিল নিজে জোগাড় করে আনে আরও ১(এক) লাখ ১০(দশ)হাজার টাকা, সর্বমোট ১(এক) লক্ষ ৬৪(চৌষট্টি) হাজার টাকা খলিল নিজ হাতে পল্লবী থানার চার তলায় এসআই সজীব খানের হাতে তুলে দেয়। এসআই সজীব খান নিজ হাতে টাকা গ্রহণ করার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়।( যাহা থানার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন আনোয়ার)।

আমাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় কঠোর ভাবে হুমকী দেয় যে, এই ঘটনা কেউ জানলে তোকে এমন মামলা দিব যে, সারা জীবন জেলের ভিতরেই পঁচে মরবি। মনে রাখিস, এ কথাটা ভুলিস না, বলে আমাকে ছেড়ে দেয়।

আমাকে ছেড়ে দেয়ার এক সপ্তাহ পরে আমার নিকট দেশের গোয়েন্দা বিভাগের লোক আসে।এসে পল্লবী থানার এসআই সজীব খানের বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চায়। আমি এসআই সজীব খানের ভয়ে কিছুই বলতে রাজি হই নাই। কিন্তু গোয়েন্দারা বলে ‘সজীব খানের থেকেও আমরা বড় অফিসার’, তোমার  কোনো ভয় নেই।

এরপর অনেক আশ্বস্থ করার পর আমি ঘটনা খুলে বলি। ঐ সময় গোয়েন্দা বিভাগ আমার সমস্ত কথা তাঁদের মোবাইলে রেকর্ড করে নিয়ে যায়।তাঁদের কতাবার্তা শুনে আমি বুঝতে পারি যে, তাঁদের মধ্যে একজনের নাম গোয়েন্দা কাইয়ূম।

এর কিছুদিন পর আমাকে গোয়েন্দারা মোবাইলে কল দেয় এবং আমার বক্তব্য নেওয়ার জন্য আমাকে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ৫ম তলায় যেতে বলে।

কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগের আগমনের খবর যেভাবেই হোক এসআই সজীব খান জেনে যায়।আর আমাকে পূনরায় গ্রেফতার নাটক করে আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও টাকা হালাল করতে আমাকে মনগড়া মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়।আর পিকাপটি আমার মালিকাধীন জানা সত্বেও এসআই সজীব খানের দাবীকৃত গাড়ি বিষয়ক ৫০ হাজার টাকা আলাদাভাবে না দেয়ার কারণে সে আমার পিকাপটি বেনামে/ ভিন্ননামে চালান করে দেয়।ঐ পিকাপের মামলাটি অদ্যবদি নিশ্পত্তি না হওয়ার কারণে পিকাপটি বিজ্ঞ আদালতের হেফাজতেই রয়েছে। নানাবিধ হয়রানি ও লোকসানের পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি আমার ছোট ভাই খলিলকে সাথে নিয়ে এডিসি কে.এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ(ডেভলোপমেন্ট-২)ডিএমপি ঢাকা’র সাথে দেখা করি।

এখানে কর্মকর্তা তাঁর চেম্বারে আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করার সময় অযাচিত ভাবে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান আমার ভাই খলিলের মোবাইলে কল দেয়।  

তখন আমরা ঐ কল করার বিষয়টি এডিসি শহিদুল ইসলাম সোহাগকে দেখালে, তিনি লাউডে দিয়ে ফোনটি রিসিভ করতে বলেন। ঐ সময় এসআই সজীব খান আমার ভাই খলিলকে নানাবিধ ভয়ভিতি দিয়ে বলতে থাকে যে, আমরা যেনো কোনো ভাবেই মুখ না খুলি। এসব কথপোকথন সবই এডিসি লাউডে শুনেন এবং তাঁর নিজস্ব মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন।

ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ভেবে ছিলাম বিষয়টি ভুলে যাব। কিন্তু এসআই সজীব খান যে দফায় দফায় আমাকে টার্গেট করতে থাকবে এটি আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।

এরপর গত ১৫/০৯/২০২১ইং তারিখে সন্ধ্যারাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে মিরপুর পল্লবী এভিনিউ ৩০/৫, সিরামিক রোডে আমার ভাঙাড়ির দোকানে আসে এএসআই আজগর ও ইনফর্মার(সোর্স) ললিত বাবু। এরপর আমাকে বলে আমার পিকাপ গাড়িটা দরকার। এ সময় আমি বলি পিকাপ কি করবেন? উত্তরে তাঁরা বলে থানার মালামাল নিতে হবে, এ কারণে পিকাপটা দরকার। আমি সরল বিশ্বাসে আমার ড্রাইভারকে ডেকে এনে এএসআই আজগর ও ইনফরমার ললিত বাবুর সাথে ট্রাক নিয়ে থানায় যেতে বলি। (আমার পিকাপ গাড়ির নং-ঢাকা মেট্রো-ট-১১-২৫৮২) এ 

সময় এএসআই আজগর আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, আনোয়ার তুমিও চলো, কাজ শেষে চলে এসো।

আমি সরল বিশ্বাসে তাঁদের সাথে পিকাপে উঠে পড়ি। কিন্তু আমার পিকাপটি তাঁরা পল্লবী থানায় না নিয়ে সোজা তুরাগ থানা এলাকার বৃন্দাবন উলুদাহে দেলোয়ারের ভাঙাড়ি দোকানের নিকট নিয়ে যায়, ওখানে পৌঁছে দেখি আগে থেকেই সেখানে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান দাঁড়িয়ে আছে।

আমি পিকাপ থেকে নামার সাথেসাথেই এসআই সজীব খান আমার হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দিয়ে বলে ‘তুই মেট্রোরেলের মালামাল চুরি করছোস? আমি হতবাক হয়ে বলি, আমাকে তো আপনারা পল্লবী থানায় কাজের কথা বলে নিয়ে এসেছেন, তাহলে এখানে আনলেন কেনো? এ কথা বলার সাথে সাথে এসআই সজীব খান আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।মার খেয়ে আমি কান্নাকাটি শুরু করলে বলে, টাকা কত আছে বল? এ কথা বলেই পল্লবী থানার এসআই সজীব খান আমার পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমার ব্যবসার ২০(বিশ)হাজার টাকা জোর করে বের করে নেয়।

একই সাথে দেলোয়ারের ভাঙাড়ি দোকান থেকে আমার খালি পিকাপে মেট্রোরেলের পাইপ লোহালক্কর তুলতে থাকে। আর বলে এসব মেট্রোরেলের মাল তুই চুরি করছোস।এরপর আমাকে আমার পিকাপসহ পল্লবী থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু আমার ড্রাইভারকে ছেড়ে দেয়।তবে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যদি আমার ১২ নাম্বারের দোকান ও ডিওএইচএস এলাকার রাস্তার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে, তাঁরা আমাকে উলুদাহ বৃন্দাবন যাওয়ার পথে আমাকে খালি পিকাপে করে নিয়ে যাচ্ছেন, আর আমার পিকাপের সামনের ছিটে এএসআই আজগর বসে আছেন।

এরপর এসআই্ সজীব খান পল্লবী থানায় নিয়ে আমাকে পূর্বের ন্যায় টর্চার করতে থাকে আর বলতে থাকে তাড়াতাড়ি ৫ লাখ টাকার ব্যবস্থা কর।তা না হলে তোর কপালে আজ খুব দুঃখ আছে।সারজীবন জেল খাটবি। খবর পেয়ে আমার ম্যানেজার সোহেল ও আমার ছোটভাই খলিল আমাকে পল্লবী থানায় দেখতে আসে।

আমার ভাইকেও এ সময় নানাধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকী দিতে থাকে যে, জেল খাটতে না চাইলে এখনই ৫(পাঁচ) লাখ টাকা ম্যানেজ কর্। আমার ছোট ভাই খলিল তখন হয়রানি থেকে বাঁচতে ২(দুই) লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু এসআই সজীব খান বলে ঐ টাকা সে তার ভাড়া বাসাতে নেবে।এরপর আমার ভাগিনা নাঈম ও ম্যানেজার রাসেল পল্লবী এলাকার ১২ নং সেকশনের, বি ব্লকের, ৩ নং রোডের ৬০/১ নং বাড়ির চতুর্থ তলার পিছন সাইডে এসআই সজীব খানের ভাড়া বাসায় যেয়ে এসআই সজীব খানের হাতে নগদ ২(দুই) লাখ টাকা দিয়ে আসে, যা এসআই সজীব খান আমাকে (আনোয়ার হোসেন) ছেড়ে দিবে বলে নিজ হাতে গ্রহন করে। কিন্তু তারপরও এসআই সজীব খান আমাকে না ছেড়ে সাজানো মনগড়া মামালা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়। আর আমাকে আর আমার ভাইকে ভয়ভিতী দেখিয়ে বলে যে, এ ঘটনা কাউকে জানালে সারা জীবন জেলের ভিতরেই থাকবি।

আমার এ হয়রানি মূলক গ্রেফতার ও বিনি কারণে দফায় দফায় টাকা নেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সহ  ডিএমপি হেড কোয়াটরে পৌঁছে যাওয়ার কারণে এসআই সজীব খান আমাকে কখনো স্বশরীরে আবার কখনো মোবাইলে, আবার কখনো অপরিচিত লোক মারফৎ আবার কখনো বা তার পৌষ্য সোর্সদ্বারা নানাবিধ হুমকী ধামকী ও মোবাইলে কঠোর ভাষায় আমাকে হুশিয়ারী দিয়ে যাচ্ছে।

ফলে আমি আমার ও আমার আপনজনদের নিরাপত্তার জন্য আমি ইতোমধ্যে বিস্তারিত বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ(আইজিপি)মহোদয়বৃন্দকে লিখিতভাবে অবহীত করি।

অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান এখনো পল্লবী থানার অধীনেই বীরদর্পে ডিউটি করে যাচ্ছেন।সে  সব জায়গায় বলে বেড়াই যে, সে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনির ভাতিজী জামাই পরিচয় দিয়ে সে দম্ভেরসাথে বলে থাকে যে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। সব দপ্তরেই আমার আত্মীয়স্বজন আছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এসআই সজীব খান কোনো সফল অভিযানে কোনো আসামী গ্রেফতার করতে পারলেই শুরু হয়েযায় তার গ্রেফতার বাণিজ্য। এ সময় সে তার টার্গেটকৃত অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল মানুষদের ধরে এনে সফল অভিযানের মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতাতে থাকে।আর বিনি কারণে কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকার করে , তাহলে সেই ব্যক্তি হয়ে যায় এসআই সজীব খানের সফল অবিযানের অন্যতম আসামী অথবা সহযোগী আসামী।এখানে আরও উল্লেখ থাকে যে, আসামী গ্রেফতারের সময় যে টাকা পয়সা সন্দেহভাজন আসামীদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়, তা কখনোই আসামীরা ফেরৎ পাননা বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভূক্তভোগী।  পল্লবী থানায় টানা ৬ বছর যাবৎ চাকরি করার কারণে প্রভাব খাটিয়ে তিনি কর্তাদের ম্যানেজ করে এই ধরণের নাটক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এদিকে একজন সরকারি কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশের চাকরিতে একই থানায় টানা ৬ বছর থাকতে পারেন কিনা, তা নিয়েও উঠেছে নানাবিধ সমালোচনা। যদিও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একই প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের অধিক সময় থাকতে পারবেন না।তবে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান কোন ক্ষমতার বলে পল্লবী থানাকেই ভাতবাড়ি বানিয়ে ফেললেন – তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উল্লখিত জনহয়রানি ও গ্রেফতার বাণিজ্য বিষয়ে এসআই সজীব খানের মন্তব্য জানতে তাঁর মোবাইলে কল করা হলে, তিনি বলেন “ওসি স্যারের ফোন আসছে, আমি পরে কথা বলি”।

পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ পারভেজ ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখবো।

সূএ https://bdupdatenews24.com/2021/11/08/%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%86%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac-%e0%a6%96%e0%a6%be-2/

সূএ