‘সালাম’-এর শাব্দিক অর্থ হলো শান্তি, কল্যাণ ও দোয়া। মুমিনদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টির মাধ্যম।  সালামদাতা সালামগ্রহীতার জন্য তিনটি কল্যাণময় কাজ একসঙ্গে করে থাকে—শান্তি কামনা, কল্যাণ কামনা এবং সেই সঙ্গে দোয়া। হাদিস শরিফে এই মহৎ কাজকে সামাজিক জীবনে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠার মাধ্যম আখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কে আগে সালাম দেবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আরোহী ব্যক্তি পায়ে হেঁটে চলমান ব্যক্তিকে, দণ্ডায়মান ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে এবং অল্পসংখ্যক লোক বেশিসংখ্যক লোককে সালাম দেবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬২৩৩)

আর ছোট বড়কে এবং আগমনকারী ব্যক্তি অভ্যর্থনাকারীকে সালাম দেবে। তবে সর্বাবস্থায় শুধু ছোট বড়কেই সালাম দিতে হবে—এমনটি নয়; বরং বড়রাও ছোটদের সালাম দিতে পারবে। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) দুটি শিশুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদের সালাম করেছিলেন। (মুসলিম, হাদিস : ২১৬৮)