নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ১৭ই ডিসেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর সেনা শপিং কমপ্লেক্স এর ৪র্থ তলার একটি মোবাইল দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। সে ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা আশুলিয়া থানার (মামলা নং-৬২ তারিখ ১৯/১২/২০১৯ ইং ধারা ৪৬১/৬৮০ পেনাল কোড।) উক্ত মামলার বিষয়ে র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামী সোহেল এর অবস্থান কুমিল্লা বলে জানতে পারে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৭ জানুয়ারি সকালে সিপিসি ২ এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লার শাসনগাছা বাসষ্ট্যান্ড থেকে কসবা কালাইমইর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল (৩২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ইতোপূর্বে করা অনুসন্ধান ও ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০/১২ জন সদস্য এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। আসামীর দেয়া তথ্য মতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর আভিযানিক দল কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা ও চট্রগ্রাম থেকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরো ৬জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ ১। মোঃ মহরম আলী (২১), পিতা- জাকির হোসেন, সাং- বাখরাবাদ।
২। মোঃ সিরাজ মিয়া (২৩), পিতা- মৃত মানিক মিয়া, সাং- নলুয়া চৌমুহনী
৩। মোঃ সুমন (২১), পিতা- মৃত ইউসুফ আলী, সাং- পালাসুতা
৪। মোঃ কাওসার (১৯), পিতা- মৃত আব্দুস সালাম, সাং- নিয়ামতপুরম, সর্ব থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা
৫। মোঃ মোশারফ (৩০), পিতা- আব্দুস শহিদ, সাং- আলোকপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা এবং
৬। মোঃ শুকুর আলী (২৩), পিতা- মৃত ছাবের আলী, সাং- ব্রুপঝাড়, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম।
র্যাব ১১ সিপিসি২ এর উপ পরিচালক কোম্পানি কমান্ডার তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান,
অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রত্যেকে স্বীকার করে যে, তারা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর সেনা শপিং কমপ্লেক্স এর ৪র্থ তলার মোবাইল এর দোকানে চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলো। তারা সংঘবদ্ধ দলে এসব কর্ম কর বলেও জানায়। তাদের এই সংঘবদ্ধ দলে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্থানে মার্কেটে মোবাইল ও বিকাশের দোকানে চুরি ডাকাতি করে আসছিল।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে ঢাকা আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় তিনি।