মাহফুজ বাবু


জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম এর সার্বিক তত্বাবধানে উর্ধতন আন্যান্য কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহায়তায় বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে ৩দিনেই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় ও হত্যাকারী সনাক্ত সহ মুল আসামীদের একজন কে আটক করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার ও সঙ্গীয় ফোর্সের অভিযানে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও হত্যাকান্ডে জড়িত এক নারী কে আটক করেন। সেই সাথে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেতেও সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমানিক ৩টায় সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শাকতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুল হত্যাকারীদের একজন প্রধান হত্যাকারী রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ আলেয়া বেগম(২৬) কে গ্রেফতার করে। ঘটনার আগের রাতে শাকতলা’র বাড়িতে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী ও হত্যার সাথে জড়িত আসামী আলেয়া বেগম আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুরের (আফজল খান কমার্স কলেজের সাথে) বাসিন্দা। এসময় আসামীর কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সহ লুন্ঠিত মালামাল (নারিকেল) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী আলেয়া তার স্বামীসহ অন্যান্যরা হত্যার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যাকান্ডের ঘটনার সকল জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, গত ৩ফেব্রুয়ারী ভোরে দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ বুড়িচংয়ের ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিমসিংহ এলাকার কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের পূর্ব পাশে জনৈক হাজী আলী আহাম্মদের ধানী জমি থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির রক্তাক্ত মরোদেহ উদ্ধার করে। দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মনগুজ গ্রামের নারেকল ব্যবসায়ী তারু মিয়া (৪৫)। নিহতের বাবার নাম এখনো জানা যায় নি। অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।