কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে তাঁর প্যারোলের (শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি) বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে তিন দিনব্যাপী ইসলামী ইজতেমায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কারাবন্দি খালেদার চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত করছে সরকার। তাঁর চিকিত্সার কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। তাঁর পরিবার কিংবা দলের পক্ষ থেকে প্যারোল চেয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। যদি এ ধরনের কোনো আবেদন পাওয়া যায় সরকার সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তাড়াইল উপজেলার ইছাপশর-বেলংকা গ্রামে তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমার শেষ দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে করে ইজতেমা এলাকায় অবতরণ করেন। ইজতেমায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
ইজতেমায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সবার সহযোগিতা চান। আর এ আন্দোলনে আলেমদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। কিন্তু কোনো ধর্মকে কেউ কটাক্ষ করলে তা মেনে নেবে না সরকার। এ দেশে সব ধর্মের লোকজন শান্তিতে বসবাস করছে। এটি বাংলাদেশের সৌন্দর্য।’
পরে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহর ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। এ সময় ময়মনসিংহের নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ইজতেমা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাড়াইলের বিভিন্ন এলাকার ২০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন।