নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সনদের দাবীতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা গত ৭ জুলাই ঢাকার বার কাউন্সিলের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে। একই দিন বিকেলে আমরণ অনশণ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে। তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার ( ৯ জুলাই) অনশন করছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অনশনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সোনালী ব্যাংকের সামনে অনশনরত শিক্ষানবিশ আইনজীবী হাজেরা খাতুন হঠাৎ স্ট্রোক করে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিটফোর্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনার একটু পরেই আফসানা মিনি নামে আরোও একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকেও ঢাকার মিটফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে দুজনেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়,অসুস্থ্য দুজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বরিশাল বারের। ইতিপুর্বে গত ৮ মার্চ আরো ৭ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী অনশনকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
আরও জানা যায়,করোনা পরিস্থিতির কারণে আইনজীবী তালিকাভূক্তির প্রিলিমিনারী পাশকৃতদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজন্য ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা মওকুফ করতঃ সরাসরি গেজেট প্রদানের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণের দাবিতে এ আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
এদিকে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রধান সমন্বয়ক এ,কে মাহমুদ,সুমনা আক্তার লিলি এবং আইনুল ইসলাম বিশালগণ অসুস্থ্য শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন। সেই সাথে অসুস্থ্য সহযোদ্ধা ভাই,বোনদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন ও সারাদেশে জেলা ভিত্তিক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছিলেন।